দেশে নতুন করে ১৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি

ঢাকা,২৮মে,ফোকাস বাংলা নিউজ:দেশে নতুন করে ১৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।২০১৫ সালের জুন শেষে দেশে কর্মসংস্থান পাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৫ কোটি ৯৫ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৩ সাল শেষে ছিল ৫ কোটি ৮১ লাখ।রোববার প্রকাশিত ত্রৈমাসিক শ্রম শক্তি জরিপ ২০১৫-১৬ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রোবাবর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএসের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন পরিচালক কবির উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত একবছরব্যাপী একলাখ ২৩ হাজার খানা থেকে বিবিএস তথ্য সংগ্রহ করেছে। এর আগে ২০১৩ সালের জরীপে মাত্র ৩৬ হাজার খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। নতুন জরিপটি কলেবর বাড়িয়ে পরিচালনা করা হয়েছে।বিবিএস নতুন জরিপ অনুযায়ী, দেশে মোট ৬ কোটি ২১ লাখ শ্রমশক্তির মধ্যে ২৬ লাখ লোক বেকার রয়েছে।বাকি ৫ কোটি ৯৫ লাখ মানুষের হাতে কাজ আছে।কবির উদ্দিন বলেন, আগের জরিপের তুলনায় বেকারের সংখ্যা বাড়েনি, অপরিবর্তিই রয়েছে।২০১৩ ও ২০১০ সালের শ্রম শক্তি জরিপে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ দেখানো হয়েছিল।সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা ১০ কোটি ৬১ লাখ, যাদের মধ্যে ৬ কোটি ২১ লাখ কর্মক্ষম।বাকি ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ শ্রম শক্তির আওতার বাইরে রযেছে।কবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৩ সালের শ্রম জরিপের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ শ্রমশক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে শ্রমবাজারে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১৪ লাখ বেড়ে ৬ কোটি ২১ লাখে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। শিল্পের উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু কাক্সিক্ষত কর্মসংস্থান হচ্ছে না। কর্মসংস্থান না হওয়ার কারণ বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির। আর অর্থনীতিকে অতিমাত্রায় প্রবৃদ্ধিনির্ভর দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হচ্ছে। এটি অর্থনীতির অত্যন্ত খ-িত ও অসম্পূর্ণ চিত্র। সবচেয়ে দুস্থ মানুষটি অর্থনীতি থেকে কতটা পেল, সেটা বিবেচ্য হওয়া উচিত। তাই ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা অর্থহীন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে এ কথা বলেন। মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ (তৃতীয় সংস্করণ) প্রকাশ করেছে।কর্মসংস্থান না হওয়ার উদাহরণ দিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পোশাক খাতে এত উৎপাদন ও রপ্তানি বেড়েছে, কিন্তু কর্মসংস্থান বাড়েনি। যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরাই আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে উৎপাদন বাড়িয়েছেন। বেসরকারি বিনিয়োগ চাঙা না হওয়ায় জিডিপির বড় দুর্বলতা বলে মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের ব্যূহ ভেদ করতে পারছি না। জিডিপিতে যে বাড়তি বিনিয়োগ আসছে, তা রাষ্ট্রের বিনিয়োগ থেকে আসছে। ভোগের ক্ষেত্রে যে অতিরিক্ত অংশটি আসছে, তা-ও রাষ্ট্রের ভোগ। ভোগ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে রাষ্ট্র দিয়েই অর্থনীতি ধাবিত হচ্ছে। মধ্যম আয়ের দেশ কিংবা উন্নত দেশ হওয়ার জন্য যে আকাঙ্খা, এর সঙ্গে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ প্রবাহের বিষয়টি মিলছে না বলে মনে করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতিবেদক/জিএম/ফোকাস বাংলা/১৯৪৪ ঘ.

এলডিসি থেকে বের হতে দুই শর্ত পূরণ হলেও মাথাপিছু আয়ে উদ্বেগ

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এলডিসির তালিকায় রয়েছে। এই তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া তিন শর্তের মধ্যে দুটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এগুলো হল- মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। আর অন্য আরেকটি সূচক মাথাপিছু আয় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়কারী ড. আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যবসায়ী নেতা আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকের মধ্যে দুটিতে ভাল করেছে বাংলাদেশ। কিন্ত উদ্বিগ্নতার বিষয় হল মাথা পিছু আয়। এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে ফার্মাখাতে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫ দশক পর এলসিডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি আমাদের বড় অর্জন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট উদ্যোগ রয়েছে। সরকারও তাদেরকে সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রস্তুত এমন দেশ বাছাই করে তালিকা করে। সর্বশেষ তালিকাটি ২০১৫ সালে হয়েছিল। আগামী তালিকা হবে ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের মূল্যায়নে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ওই তিনটি সূচকে কী ধরনের পরিস্থিতি ছিল, তা বিবেচনা করা হবে।

ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন এলডিসি থেকে বের হতে চাইলে বাংলাদেশকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, বতর্মানে দেশের রপ্তানি পণ্য উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কারখানায় পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগীদেশগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি কৃষি ও প্রাকৃতিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। এমনকি চীনের মতো দেশ থেকে মাছ রপ্তানি করা হয়। ফলে এসবখাতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে আগামীতে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানির বাজারের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের দুর্নীতি কমে আসছে। আগামীতে আরও কমবে। তারমতে, এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে বাজার সুবিধায় কিছুটা কমবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তহবিল অর্থ সংগ্রহের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষ করে জ্বালানিখাতে এই সমস্যা বেশি হবে। তবে ব্যয় কিছুটা বাড়লে প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া যাবে। বর্তমানে চাইলে সব জায়গা থেকে অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে এ সমস্যা কেটে যাবে।

এলডিসি থেকে বের হতে দুই শর্ত পূরণ হলেও মাথাপিছু আয়ে উদ্বেগ

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এলডিসির তালিকায় রয়েছে। এই তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া তিন শর্তের মধ্যে দুটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এগুলো হল- মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। আর অন্য আরেকটি সূচক মাথাপিছু আয় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়কারী ড. আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যবসায়ী নেতা আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকের মধ্যে দুটিতে ভাল করেছে বাংলাদেশ। কিন্ত উদ্বিগ্নতার বিষয় হল মাথা পিছু আয়। এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে ফার্মাখাতে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫ দশক পর এলসিডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি আমাদের বড় অর্জন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট উদ্যোগ রয়েছে। সরকারও তাদেরকে সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রস্তুত এমন দেশ বাছাই করে তালিকা করে। সর্বশেষ তালিকাটি ২০১৫ সালে হয়েছিল। আগামী তালিকা হবে ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের মূল্যায়নে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ওই তিনটি সূচকে কী ধরনের পরিস্থিতি ছিল, তা বিবেচনা করা হবে।

ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন এলডিসি থেকে বের হতে চাইলে বাংলাদেশকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, বতর্মানে দেশের রপ্তানি পণ্য উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কারখানায় পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগীদেশগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি কৃষি ও প্রাকৃতিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। এমনকি চীনের মতো দেশ থেকে মাছ রপ্তানি করা হয়। ফলে এসবখাতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে আগামীতে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানির বাজারের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের দুর্নীতি কমে আসছে। আগামীতে আরও কমবে। তারমতে, এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে বাজার সুবিধায় কিছুটা কমবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তহবিল অর্থ সংগ্রহের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষ করে জ্বালানিখাতে এই সমস্যা বেশি হবে। তবে ব্যয় কিছুটা বাড়লে প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া যাবে। বর্তমানে চাইলে সব জায়গা থেকে অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে এ সমস্যা কেটে যাবে।

এলডিসি থেকে বের হতে দুই শর্ত পূরণ হলেও মাথাপিছু আয়ে উদ্বেগ

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এলডিসির তালিকায় রয়েছে। এই তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া তিন শর্তের মধ্যে দুটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এগুলো হল- মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। আর অন্য আরেকটি সূচক মাথাপিছু আয় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়কারী ড. আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যবসায়ী নেতা আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকের মধ্যে দুটিতে ভাল করেছে বাংলাদেশ। কিন্ত উদ্বিগ্নতার বিষয় হল মাথা পিছু আয়। এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে ফার্মাখাতে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫ দশক পর এলসিডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি আমাদের বড় অর্জন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট উদ্যোগ রয়েছে। সরকারও তাদেরকে সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রস্তুত এমন দেশ বাছাই করে তালিকা করে। সর্বশেষ তালিকাটি ২০১৫ সালে হয়েছিল। আগামী তালিকা হবে ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের মূল্যায়নে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ওই তিনটি সূচকে কী ধরনের পরিস্থিতি ছিল, তা বিবেচনা করা হবে।

ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন এলডিসি থেকে বের হতে চাইলে বাংলাদেশকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, বতর্মানে দেশের রপ্তানি পণ্য উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কারখানায় পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগীদেশগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি কৃষি ও প্রাকৃতিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। এমনকি চীনের মতো দেশ থেকে মাছ রপ্তানি করা হয়। ফলে এসবখাতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে আগামীতে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানির বাজারের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের দুর্নীতি কমে আসছে। আগামীতে আরও কমবে। তারমতে, এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে বাজার সুবিধায় কিছুটা কমবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তহবিল অর্থ সংগ্রহের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষ করে জ্বালানিখাতে এই সমস্যা বেশি হবে। তবে ব্যয় কিছুটা বাড়লে প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া যাবে। বর্তমানে চাইলে সব জায়গা থেকে অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে এ সমস্যা কেটে যাবে।

এলডিসি থেকে বের হতে দুই শর্ত পূরণ হলেও মাথাপিছু আয়ে উদ্বেগ

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এলডিসির তালিকায় রয়েছে। এই তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া তিন শর্তের মধ্যে দুটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এগুলো হল- মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। আর অন্য আরেকটি সূচক মাথাপিছু আয় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়কারী ড. আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যবসায়ী নেতা আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকের মধ্যে দুটিতে ভাল করেছে বাংলাদেশ। কিন্ত উদ্বিগ্নতার বিষয় হল মাথা পিছু আয়। এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে ফার্মাখাতে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫ দশক পর এলসিডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি আমাদের বড় অর্জন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট উদ্যোগ রয়েছে। সরকারও তাদেরকে সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রস্তুত এমন দেশ বাছাই করে তালিকা করে। সর্বশেষ তালিকাটি ২০১৫ সালে হয়েছিল। আগামী তালিকা হবে ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের মূল্যায়নে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ওই তিনটি সূচকে কী ধরনের পরিস্থিতি ছিল, তা বিবেচনা করা হবে।

ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন এলডিসি থেকে বের হতে চাইলে বাংলাদেশকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, বতর্মানে দেশের রপ্তানি পণ্য উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কারখানায় পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগীদেশগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি কৃষি ও প্রাকৃতিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। এমনকি চীনের মতো দেশ থেকে মাছ রপ্তানি করা হয়। ফলে এসবখাতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে আগামীতে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানির বাজারের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের দুর্নীতি কমে আসছে। আগামীতে আরও কমবে। তারমতে, এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে বাজার সুবিধায় কিছুটা কমবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তহবিল অর্থ সংগ্রহের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষ করে জ্বালানিখাতে এই সমস্যা বেশি হবে। তবে ব্যয় কিছুটা বাড়লে প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া যাবে। বর্তমানে চাইলে সব জায়গা থেকে অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে এ সমস্যা কেটে যাবে।

এলডিসি থেকে বের হতে দুই শর্ত পূরণ হলেও মাথাপিছু আয়ে উদ্বেগ

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এলডিসির তালিকায় রয়েছে। এই তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া তিন শর্তের মধ্যে দুটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এগুলো হল- মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। আর অন্য আরেকটি সূচক মাথাপিছু আয় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়কারী ড. আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যবসায়ী নেতা আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকের মধ্যে দুটিতে ভাল করেছে বাংলাদেশ। কিন্ত উদ্বিগ্নতার বিষয় হল মাথা পিছু আয়। এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে ফার্মাখাতে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫ দশক পর এলসিডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি আমাদের বড় অর্জন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট উদ্যোগ রয়েছে। সরকারও তাদেরকে সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রস্তুত এমন দেশ বাছাই করে তালিকা করে। সর্বশেষ তালিকাটি ২০১৫ সালে হয়েছিল। আগামী তালিকা হবে ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের মূল্যায়নে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ওই তিনটি সূচকে কী ধরনের পরিস্থিতি ছিল, তা বিবেচনা করা হবে।

ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন এলডিসি থেকে বের হতে চাইলে বাংলাদেশকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, বতর্মানে দেশের রপ্তানি পণ্য উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কারখানায় পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগীদেশগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি কৃষি ও প্রাকৃতিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। এমনকি চীনের মতো দেশ থেকে মাছ রপ্তানি করা হয়। ফলে এসবখাতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে আগামীতে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানির বাজারের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের দুর্নীতি কমে আসছে। আগামীতে আরও কমবে। তারমতে, এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে বাজার সুবিধায় কিছুটা কমবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তহবিল অর্থ সংগ্রহের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষ করে জ্বালানিখাতে এই সমস্যা বেশি হবে। তবে ব্যয় কিছুটা বাড়লে প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া যাবে। বর্তমানে চাইলে সব জায়গা থেকে অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে এ সমস্যা কেটে যাবে।

এলডিসি থেকে বের হতে দুই শর্ত পূরণ হলেও মাথাপিছু আয়ে উদ্বেগ

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এলডিসির তালিকায় রয়েছে। এই তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া তিন শর্তের মধ্যে দুটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এগুলো হল- মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। আর অন্য আরেকটি সূচক মাথাপিছু আয় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়কারী ড. আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যবসায়ী নেতা আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকের মধ্যে দুটিতে ভাল করেছে বাংলাদেশ। কিন্ত উদ্বিগ্নতার বিষয় হল মাথা পিছু আয়। এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে ফার্মাখাতে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫ দশক পর এলসিডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি আমাদের বড় অর্জন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট উদ্যোগ রয়েছে। সরকারও তাদেরকে সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রস্তুত এমন দেশ বাছাই করে তালিকা করে। সর্বশেষ তালিকাটি ২০১৫ সালে হয়েছিল। আগামী তালিকা হবে ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের মূল্যায়নে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ওই তিনটি সূচকে কী ধরনের পরিস্থিতি ছিল, তা বিবেচনা করা হবে।

ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন এলডিসি থেকে বের হতে চাইলে বাংলাদেশকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, বতর্মানে দেশের রপ্তানি পণ্য উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কারখানায় পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগীদেশগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি কৃষি ও প্রাকৃতিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। এমনকি চীনের মতো দেশ থেকে মাছ রপ্তানি করা হয়। ফলে এসবখাতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে আগামীতে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানির বাজারের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের দুর্নীতি কমে আসছে। আগামীতে আরও কমবে। তারমতে, এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে বাজার সুবিধায় কিছুটা কমবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তহবিল অর্থ সংগ্রহের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষ করে জ্বালানিখাতে এই সমস্যা বেশি হবে। তবে ব্যয় কিছুটা বাড়লে প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া যাবে। বর্তমানে চাইলে সব জায়গা থেকে অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে এ সমস্যা কেটে যাবে।

এলডিসি থেকে বের হতে দুই শর্ত পূরণ হলেও মাথাপিছু আয়ে উদ্বেগ

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এলডিসির তালিকায় রয়েছে। এই তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া তিন শর্তের মধ্যে দুটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এগুলো হল- মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। আর অন্য আরেকটি সূচক মাথাপিছু আয় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়কারী ড. আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যবসায়ী নেতা আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকের মধ্যে দুটিতে ভাল করেছে বাংলাদেশ। কিন্ত উদ্বিগ্নতার বিষয় হল মাথা পিছু আয়। এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে ফার্মাখাতে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫ দশক পর এলসিডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি আমাদের বড় অর্জন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট উদ্যোগ রয়েছে। সরকারও তাদেরকে সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রস্তুত এমন দেশ বাছাই করে তালিকা করে। সর্বশেষ তালিকাটি ২০১৫ সালে হয়েছিল। আগামী তালিকা হবে ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের মূল্যায়নে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ওই তিনটি সূচকে কী ধরনের পরিস্থিতি ছিল, তা বিবেচনা করা হবে।

ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন এলডিসি থেকে বের হতে চাইলে বাংলাদেশকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, বতর্মানে দেশের রপ্তানি পণ্য উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কারখানায় পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগীদেশগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি কৃষি ও প্রাকৃতিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। এমনকি চীনের মতো দেশ থেকে মাছ রপ্তানি করা হয়। ফলে এসবখাতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে আগামীতে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানির বাজারের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের দুর্নীতি কমে আসছে। আগামীতে আরও কমবে। তারমতে, এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে বাজার সুবিধায় কিছুটা কমবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তহবিল অর্থ সংগ্রহের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষ করে জ্বালানিখাতে এই সমস্যা বেশি হবে। তবে ব্যয় কিছুটা বাড়লে প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া যাবে। বর্তমানে চাইলে সব জায়গা থেকে অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে এ সমস্যা কেটে যাবে।

এলডিসি থেকে বের হতে দুই শর্ত পূরণ হলেও মাথাপিছু আয়ে উদ্বেগ

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এলডিসির তালিকায় রয়েছে। এই তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া তিন শর্তের মধ্যে দুটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এগুলো হল- মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। আর অন্য আরেকটি সূচক মাথাপিছু আয় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়কারী ড. আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যবসায়ী নেতা আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকের মধ্যে দুটিতে ভাল করেছে বাংলাদেশ। কিন্ত উদ্বিগ্নতার বিষয় হল মাথা পিছু আয়। এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে ফার্মাখাতে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫ দশক পর এলসিডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি আমাদের বড় অর্জন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট উদ্যোগ রয়েছে। সরকারও তাদেরকে সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রস্তুত এমন দেশ বাছাই করে তালিকা করে। সর্বশেষ তালিকাটি ২০১৫ সালে হয়েছিল। আগামী তালিকা হবে ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের মূল্যায়নে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ওই তিনটি সূচকে কী ধরনের পরিস্থিতি ছিল, তা বিবেচনা করা হবে।

ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন এলডিসি থেকে বের হতে চাইলে বাংলাদেশকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, বতর্মানে দেশের রপ্তানি পণ্য উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কারখানায় পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগীদেশগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি কৃষি ও প্রাকৃতিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। এমনকি চীনের মতো দেশ থেকে মাছ রপ্তানি করা হয়। ফলে এসবখাতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে আগামীতে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানির বাজারের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের দুর্নীতি কমে আসছে। আগামীতে আরও কমবে। তারমতে, এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে বাজার সুবিধায় কিছুটা কমবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তহবিল অর্থ সংগ্রহের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষ করে জ্বালানিখাতে এই সমস্যা বেশি হবে। তবে ব্যয় কিছুটা বাড়লে প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া যাবে। বর্তমানে চাইলে সব জায়গা থেকে অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে এ সমস্যা কেটে যাবে।

এলডিসি থেকে বের হতে দুই শর্ত পূরণ হলেও মাথাপিছু আয়ে উদ্বেগ

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এলডিসির তালিকায় রয়েছে। এই তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া তিন শর্তের মধ্যে দুটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এগুলো হল- মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। আর অন্য আরেকটি সূচক মাথাপিছু আয় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজির মূখ্য সমন্বয়কারী ড. আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যবসায়ী নেতা আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকের মধ্যে দুটিতে ভাল করেছে বাংলাদেশ। কিন্ত উদ্বিগ্নতার বিষয় হল মাথা পিছু আয়। এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে ফার্মাখাতে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫ দশক পর এলসিডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি আমাদের বড় অর্জন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট উদ্যোগ রয়েছে। সরকারও তাদেরকে সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশ হতে প্রস্তুত এমন দেশ বাছাই করে তালিকা করে। সর্বশেষ তালিকাটি ২০১৫ সালে হয়েছিল। আগামী তালিকা হবে ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের মূল্যায়নে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ওই তিনটি সূচকে কী ধরনের পরিস্থিতি ছিল, তা বিবেচনা করা হবে।

ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন এলডিসি থেকে বের হতে চাইলে বাংলাদেশকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, বতর্মানে দেশের রপ্তানি পণ্য উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কারখানায় পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগীদেশগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি কৃষি ও প্রাকৃতিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। এমনকি চীনের মতো দেশ থেকে মাছ রপ্তানি করা হয়। ফলে এসবখাতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে আগামীতে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানির বাজারের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের দুর্নীতি কমে আসছে। আগামীতে আরও কমবে। তারমতে, এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে বাজার সুবিধায় কিছুটা কমবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তহবিল অর্থ সংগ্রহের ব্যয়ও বাড়বে। বিশেষ করে জ্বালানিখাতে এই সমস্যা বেশি হবে। তবে ব্যয় কিছুটা বাড়লে প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া যাবে। বর্তমানে চাইলে সব জায়গা থেকে অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হয়ে এলে এ সমস্যা কেটে যাবে।